শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ এর উন্নেষ ঘটে এই শিক্ষা অর্জনের মধ্য দিয়ে। শিক্ষা ব্যাতিত কোন ক্রমেই একটি জাতি তার উন্নতি উচ্চ শিখরে পৌছতে পারে না। এই পৃথিবীতে যে সব জাতি জ্ঞানে, গুণে, শিক্ষা, সাহিত্যে এবং প্রকৌশল বিদ্যা-সহ বিদ্যার সকল শাখা উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে আরহণ করেছেন তাঁদের শিক্ষার ইতিহাস ততই প্রাচীন সমৃদ্ধ। শিক্ষার আলোয় মুন্সিগঞ্জ বিক্রমপুর ছিল এই উপমহাদেশের সবচাইতে আলোকিত অঞ্চল।
মনীষী অতীশ দ্বীপঙ্কর, সরোজনী নাইডু সহ অনেকেই এই অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং ভারতীয় উপমহাদেশকে আলোকিত করেছেন। আজ থেকে ১২৪ বৎসর আগে স্বগীয় কালীনাথ ব্যানার্জী তার পিতা প্রায়ত স্বর্গীয় রাধানাথ ব্যানার্জী নামে স্থাপন করেন, আউটশাহী রাধানাথ উচ্চ বিদ্যালয়। সাবেক ত্রিপুরার মূখ্যমন্ত্রী নৃপেন চক্রবর্তী সহ বহু রতœগর্ভা জ্ঞানী গুণী এই বিদ্যাপীঠের ছাত্র ছিলেন। এলাকার নিরক্ষরতা দূরীকরণ, শিক্ষার দ্বীপ শিখা প্রজ্জ্বলন এবং মানব সম্পদ গঠনে বিদ্যাপিঠের ভূমিকা ছিল স্মরণীয় ও প্রশংসনীয়।
বাংলাদেশকে বিশ্বের মানচিত্রে একটি সুখী-সমৃদ্ধ, বিজ্ঞান-মনষ্ক, কুসংস্কার ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত মননশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে সম্প্রতি যুগান্তকারী শিক্ষানীতি চালু করেন যা দেশ বিদেশে সকলের প্রশংসা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
আমি বিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করি।